রওশন আরা বেগম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিটার থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সহকারী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত মে মাস থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও নির্বিকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পরমালী সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম। এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট পাঁচজন শিক্ষক থাকলেও রওশন আরা বেগম ছাড়া বাকি শিক্ষকরা জেলা শহরে বাস করেন। বাড়ির পাশে বিদ্যালয় হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে রওশন আরা বেগম অবৈধভাবে বিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অথচ বিদ্যুৎ বিল বহন করতে হচ্ছে বিদ্যালয়কে।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পরমালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ তার বাড়িতে ব্যবহার করছেন। আমি বহুবার লাইন কাটতে বলেছি কিন্তু তিনি শুনছেন না।

বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষিকা ছফুরা পারভিন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম গত মে মাস থেকে আমাদের না জানিয়ে বিদ্যালয়ের লাইন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। আমরা নিষেধ করলেও ক্ষমতাবলে তিনি ব্যবহার করছেন।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রাকিব বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেও আমাকে এবং প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা তার বাড়িতে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। বিষয়টি জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বললে তারা বাড়িতে অসুস্থ মেয়ের অজুহাত দিয়ে লাইন চালাচ্ছে। সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা বেগমের স্বামী বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং জমিদাতা। এ কারণে তারা প্রভাব খাটিয়ে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। আমরা নিষেধ করলেও তা মানেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা রওশন আরা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যালয়ের লাইন ব্যবহার করছি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে মিটারের জন্য আবেদন করেছি। মিটার পেলে লাইন খুলে ফেলা হবে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সহকারী শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বাড়িতে ব্যবহার করছেন বলে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. জুয়েল রানা/এমজেইউ