বাবার মরদেহ মর্গে রেখে পরীক্ষা দেওয়া সেই রিয়া পেল জিপিএ-৫
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রতিপক্ষে হামলায় নিহত হন বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেওয়া হয় মর্গে। সেই মর্গের বাইরে রাতভর থেকে সকালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার মেয়ে সানজিদা আক্তার রিয়া (১৭)। সেই রিয়া এবার এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছে জিপিএ-৫।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রিয়ার পরিবার জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর জানতে পারে। রিয়া পাতাকাটা ইউনিয়নের জর্জিয়া কিন্ডার গার্ডেন থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ২ মে নির্বাচনী বিরোধের জেরে বরগুনা সদরের আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনুকে প্রকাশ্যে মেয়ের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। বাবাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল রিয়া। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে বাঁচাতে পারেননি বাবাকে।
আরও পড়ুন : বাবার মরদেহ মর্গে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে সানজিদা
বিজ্ঞাপন
আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ২মে রাত থেকেই নিহতের মরদেহ রাখা হয়েছিল বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। সারারাত মর্গে বাবার মরদেহের পাশেই বসা ছিল মেয়ে। পর দিন বুধবার (৩ মে) সকালে স্বজনদের অনুরোধে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রিয়া।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রিয়া বলে, আমার বাবাকে চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আমি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বাবা চেয়েছিলেন যেন ভালো রেজাল্ট করি। কিন্তু তিনি দেখে যেতে পারলেন না। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই।
খান নাঈম/এসকেডি