গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-পশ্চিমবাটি সড়কের সুরকি, পাথর ও পিচ উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা হাজারও মানুষকে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেহাল সড়কে দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আর বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই।

২০০৮ সালে পাকা করার পর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে দু’পাশ ধসে যাওয়ায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সড়কটি। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইটের খোয়া বের হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় গর্তের কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি ডান-বায়ে কাত হয়ে হেলেদুলে চলে। এতে যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। এছাড়া সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে।

সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী চকপ্রাণ কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, একটু বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তে পানি জমে কাদাপানি একাকার হয়ে যায়। তখন সড়কের অবস্থা এতই খারাপ হয় যে হাটাচলাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। চলাচলে রিকশাভ্যান পাওয়া গেলেও বেহাল সড়কের জন্য বেশি ভাড়া চায়।

এ সড়কে অটোরিকশা চালান বিপ্লব মিয়া। তিনি বলেন, ‘সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত আছে। গর্তের মধ্যে পড়ে প্রায়ই গাড়ির কল-কব্জা নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে ২০ মিনিটের রাস্তা যাইতে সময় লাগে ৩৫-৪০ মিনিট।’

পশ্চিমবাটি গ্রামের জুয়েল মিয়া বলেন, ‘সড়কটি পাকাকরণের পর গত ১৫ বছরে একবারও সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তে পানি জমে থাকে। আবার শুষ্ক মৌসুমে খানাখন্দে ভরা শুকনো সড়কটি ধুলোয় ভরে যায়। এটি দ্রুত সংস্কার হওয়া দরকার।’

এ ব্যাপারে সাঘাটা এলজিইডি প্রকৌশলী নয়ন রায় সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে শীঘ্রই প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে।’ 
তবে প্রকল্প অনুমোদন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কবে নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে তা নির্দিষ্ট করে তিনি জানাতে পারেননি।

রিপন আকন্দ/আরকে