সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল

সিলেটে একদিনে করোনায় মারা গেছেন পাঁচজন। পাশাপাশি নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০০ জন। বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রাত ৮টার পরে দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি খবর প্রচারিত হলেও; জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষেয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা ) শাম্মা লাবিবা অর্ণব।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে থেকে মারা গেছেন পাঁচজন। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৫৬ জন। 

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৯১ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১৮১ জন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তিনদিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা শতকের ঘরে। করোনায় বেড়েছে প্রাণহানিও। একই সঙ্গে রোগীর চাপ বেড়েছে সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ১০০টি আইসোলেশন শয্যা ও ১৬টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তবে ফাঁকা নেই একটিও। অনেক রোগী চাইলেও ভর্তি হতে পারছেন না।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিবেচনায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সিলেট জেলা। করোনা প্রকোপের মধ্যেও দলবেঁধে সিলেটে আসছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে  বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে আরও ৮৩ জন যাত্রী সিলেট এসেছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটে সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আমাদের আরও সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ১৮টি নির্দেশনা মানতে হবে। তবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সিলেট বিভাগের সাতটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। এসব হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে।

এদিকে সিলেটে রাত ৮টার পর সব দোকানপাট বন্ধের বিষয়ে একটি খবর প্রচার হয়। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) শাম্মা লাবিবা অর্ণব ঢাকা পোস্টকে বলেন, দোকানপাট বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এলে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাব।

তুহিন আহমদ/এএম