বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শাসন গ্রামে নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আসাদ শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে চুনখোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখ ও কিবরিয়া শরীফের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এ সময় দুই পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসাদ শেখ মারা যায়।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত আসাদ শেখ তালা প্রতীকে সদস্য প্রার্থী মামুন শেখের চাচা। আহতদের মধ্যে রিপন শরীফ, মাহবুব শরীফ ও এনামুলের নাম জানা গেছে।

মোরগ প্রতীকের প্রার্থী কিবরিয়া শরীফ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময় বর্তমান মেম্বার মামুনের লোকজন আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরবর্তী সময়ে আমার নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছেন।’

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, ‘কিবরিয়া শরীফ ও তার লোকেরা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। কিবরিয়ার লোকেরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচা আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আমার চাচা মারা যান। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, ‘দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আসাদ শেখ নামের এক জন নিহত হয়েছেন। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

দেশে সব নির্বাচন স্থগিত করল ইসি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনসহ সব নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নির্বাচন স্থগিত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ইসির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আপাতত আর কোনো নির্বাচন হবে না। করোনার কারণে এটা ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত। পাবনার সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন ছিল ৩১ মার্চ। ওই পৌরসভায় নির্বাচনের ব্যাপারে আদালতের রায়ও ওই দিনই পাওয়া গেছে। শুধু ওই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে ৪ এপ্রিল।

তানজীম আহমেদ/এফআর