নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বুরুঙ্গা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই সেতু পার করতে হচ্ছে স্থানীয় স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ও যানবাহনকে।

রোববার (৬ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অতিরিক্ত বালু ও পাথর বোঝাইসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুর পাটাতনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া অংশে এর আগেও সিমেন্ট ও সুরকি দিয়ে ঢালাই দেওয়া হলেও বর্তমানে ভারী যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেতুর পাটাতনে পুনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয়দের দাবি, সেতু মেরামত না হওয়ার আগ পর্যন্ত সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ রাখা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা সামছুল হক জানান, এলাকার শত শত মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এই সেতু পার হয়ে। সেতুর ওপর দিয়ে বর্তমানে যানবাহনে করে অতিরিক্ত বালু ও পাথর নেওয়ার কারণে সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। দুই উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী হাট নাজিরপুর বাজার। দ্রুত সংস্কার না হলে বাজারের মালামাল পরিবহনসহ বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পড়বে চরম ভোগান্তিতে।

পৌর শহরের বাসিন্দা কলি হাসান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ দুর্গাপুর উপজেলা সদরে আসেন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে কোনো যানবাহন সেতু পার হতে পারছে না। মাথায় নিয়ে বহন করতে হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও। তাই অবিলম্বে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান বলেন, বুরুঙ্গা সেতু ভাঙার খবর পেয়েছি। ওই এলাকার বেশ কিছু সেতু ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্বল হয়ে গেছে। বুরুঙ্গা সেতু পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। 

মো. জিয়াউর রহমান/এএএ