প্রেস ক্লাবের সামনে শরিফুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বাঁচাও পীরগঞ্জ সংগঠন ও সঙ্গীরা / ছবি : ঢাকা পোস্ট

রংপুরের পীরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার শরিফুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে বাঁচাও পীরগঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির মূল উদ্যোক্তা মাকসুদার রহমান রবু বলেন, দিনদুপুরে একটি ছেলে নাই হয়ে যাবে। তাকে সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হবে। তারপর ওই ঘাতকরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আমাদের প্রিয় পীরগঞ্জ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, এখানের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা মোটেও সন্তোষজনক নয়, আমরা ন্যায় বিচার চাই। প্রয়োজন হলে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বক্তারা বলেন, এক সময়ের সুন্দর পীরগঞ্জ এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে মাদক। উঠতি বয়সী যুবকরা ছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষকরাও মাদকে জড়িয়ে পড়েছেন। অনেক শিক্ষক মাদকে বুদ হয়ে থাকছেন, ঠিকমতো ক্লাসে যাচ্ছেন না, এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাদক কারবারির পাশাপাশি মাদকাসক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে যেভাবে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে, একইভাবে শিক্ষাকে রক্ষা করার জন্য পীরগঞ্জের শিক্ষকদেরও ডোপ টেস্ট করা জরুরি। যারা এ ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হবেন না, তাদের চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে। 

গত ২২ জুন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের স্লুইসগেট এলাকায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন অটোচালক শরিফুল ইসলাম (২২)। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ফরিদপুর নাকরি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে। ঈদ উপলক্ষ্যে নানার বাড়ি (পীরগঞ্জের রওশনপুর) বেড়াতে গিয়ে পর্যটনস্পট স্লুইসগেটে যান শরিফুল। সেখানে বান্ধবীসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন নীরব ও তার দুই বন্ধু। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- শিস দেওয়াকে অভিযোগ তুলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। এসময় ফোন করে কয়েকজন বন্ধুকে ডেকে বেদম প্রহার করা হয় শরিফুলসহ তার সঙ্গীদের। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় শরিফুলের। এ ঘটনায় নিহতের মা আরেফা বেগম মনিরুজ্জামান নিরব (১৯), বন্ধু ছাতিব তালুকদার (২০), নেহাল সরকার (১৯) ও আলিফসহ (১৯) অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। প্রায় দেড়মাস পার হওয়ার পরও এজাহারভুক্ত ৩ আসামি প্রকাশ্যে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওএফএ/এফকে