গ্রেপ্তার জামায়াতের ‍দুই নেতা

পাবনার ফরিদপুরে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার খান, ফরিদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু তালেবসহ ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণপাশের একটি টিনের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল গাফ্ফার খান(৩৭), ফরিদপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু তালেব (৩৯), ফরিদপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আফজাল হোসেন (৩৫), জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান (৩৩), আব্দুল মোমিন (৩০), হেলাল উদ্দিন (৩৫), রাশিদুল ইসলাম (২৯), কামরুজ্জামান (২৮), আব্দুল হামিদ (৩৪),ফরিদুল ইসলাম মুকুল (৩৮), ওমর আলী( ৩৩), মিরাজুল ইসলাম (২৮) ও ইসমাইল হোসেন (৩৪)।

ফরিদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণে একটি টিনের দোকানে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করছিল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদী বই, রিপোর্ট বই ও নথিপত্র জব্দ করা হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন বলেন, আজ সকালে ফরিদপুর উপজেলায় আমাদের দলীয় একটি কোরআনের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ছিল। প্রোগ্রাম চলাকালীন সেখান থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আমাদের অবশ্যই সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানাই। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি চাই।

ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সেখানে তারা নাশকতা ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকে জামায়াতের ১৩ জন রোকন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।

রাকিব হাসনাত/এএএ