চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য প্রশিক্ষণ ভবনের উদ্বোধন
নবনির্মিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য প্রশিক্ষণ ভবন
৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য প্রশিক্ষণ ভবনের উদ্বোধন ও মৎস্য কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মৎস্য ভবনে ভার্চুয়ালি যোগদান করে নবনির্মিত এ ভবনটির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।
এর আগে দিনব্যাপী মৎস্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ও ৪০টি উপজেলার মোট ৬০ জন মৎস্য কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদের সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু মঈন, মো. আবদুস সবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবদুস সাত্তার বিভাগীয় মৎস্য সম্পদের বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় অবহিত করেন।
বিজ্ঞাপন
উপ-পরিচালক জানান, চট্টগ্রাম বিভাগে চাহিদার চেয়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এ বিভাগে মাছের বাৎসরিক চাহিদা ৬ লাখ ৪৮ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন। মাছ উৎপাদন হয় ১১ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৯ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হয় বিভাগের কুমিল্লা জেলায়। এ জেলার চাহিদার তিনগুণ মাছ উৎপাদন হচ্ছে ।
কুমিল্লায় মাছের উৎপাদন ৩ লাখ টনের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ১০৩টি উপজেলায় ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৬ পুকুর, ২১৩টি বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারি, ৩ হাজার ৪৪২টি নার্সারি, ৪৮টি বেসরকারি বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি, ২৭টি সরকারি হ্যাচারি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৪৯টি মৎস্য খাদ্য কারখানা, ৩টি সরকারি গলদা চিংড়ির হ্যাচারি রয়েছে। এ বিভাগে মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৮৫ জন।
কর্মশালা শেষে কুমিল্লায় মৎস্য ভবনে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত প্রশিক্ষণ ভবনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম।
এএএ