খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের (শিক্ষানবিশ) কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে খুমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুমেক শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামিসহ ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা হবে। চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাত্মতা জ্ঞাপনপূর্বক তাদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবিগুলোও দ্রুততম সময়ে পূরণ হবে এই প্রত্যাশা রেখে জনদুর্ভোগ নিরসনে ও রোগীদের কল্যাণার্থে কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে সবুজ সরকার নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ৬ টাকার ওষুধ ৩০ টাকা নেওয়ায় সবুজ সরকার দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চান। কিন্তু দোকানদার সঠিক উত্তর না দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আশপাশের ওষুধের দোকানদাররা এগিয়ে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওষুধ ব্যবসায়ীরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২২ জন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন।

পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানিকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালিশপুর থানার বয়রা জংশন রোড এলাকার মৃত শেখ শাহাজাহানের ছেলে ও বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) এবং সোনাডাঙ্গা থানার হাসানবাগ এলাকার ছোট বয়রার মীর বাড়ির মোশারফ মীরের ছেলে ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদকে (২০) গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ