মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার মো. গোলাম মোস্তফা নামের সরকারি কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গোলাম মোস্তফা চাটমোহরের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মগরেব আলী।

ঢাকা পোস্টকে মগরেব আলী বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় একাডেমিক সুপারভাইজারকে পরীক্ষা কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) স্যারের এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।’

গত ১৫ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জামায়াত নেতা ও ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আজীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদি। তার মৃত্যুর পর গোলাম মোস্তফা তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন, 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ তুমি নিশ্চয়ই জান্নাতের উঁচু মাকামে তাকে স্থান দিবেন। আমিন।'

গোলাম মোস্তফার দেওয়া সেই পোস্ট

তার এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। চাটামোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ ঘটনার পর চলতি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় একাডেমিক সুপারভাইজারকে চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিবকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলেই আমি তার জন্য দোয়া করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেদুয়ানুল হালিম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি মনে করি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া ঠিক হয়নি। তিনি (গোলাম মোস্তফা) এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন।

রাকিব হাসনাত/এসএমডব্লিউ