নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক ঘণ্টায় দুইটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ। এসময় দুইটি পৃথক মামলায় কনের অভিভাবককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ধানশালিক ও ঘোষবাগ ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব বাল্যবিয়ে বন্ধ ও  জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কবিরহাট থানার পুলিশ সদস্যরা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে ১৩ বছর বয়সী  ও ঘোষবাগ  ইউনিয়নের ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোরীর বাল্যবিয়েের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়েই অভিযান চালান কবিরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ।

এসময় ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় দুইটি পৃথক মামলায় কনের অভিভাবককে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ১০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়। পাশাপাশি মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর ওই কিশোরীকে বিয়ে করবেন না মর্মে আদালতে মুচলেকা নেওয়া হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়েই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। কনের অভিভাবক বাল্যবিয়ে দিচ্ছেন বলে স্বীকার করেন। তারপর ২০০৭ সালের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাল্যবিয়ে হচ্ছে এই তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত সকলকে বাল্যবিয়ের কুফল ও এর আইনগত ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

হাসিব আল আমিন/এমজে