বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, সরকার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রীয় সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করেছে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তীকালের সকল অর্জন শেখ হাসিনা একাই ধ্বংস করে দিয়েছেন। 

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে খুলনা মহানগর বিএনপির আয়োজনে নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শেখ হাসিনা সরকার সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করেছে। পুলিশ, প্রশাসন এমনকি বিচার বিভাগ পর্যন্ত কুক্ষিগত করে এই সরকার বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, পুরো বিশ্ববাসী আজ উপলব্ধি করছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না, পারে না।

অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে শেখ হাসিনা সরকারকে সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় আপনার অবস্থা হবে শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানের চেয়েও লজ্জাজনক। তাই এখনো সময় আছে জনগণের দাবি মেনে নিন।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, এক দফার আন্দোলন হলো চূড়ান্ত আন্দোলন। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মুক্তিযুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে শেখ হাসিনার পরাজয় হবেই। যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি তাদেরই জয় হবে। নির্দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে- সেদিন বেশি দূরে নয়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতে হবে। 

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সদস্য সৈয়দ সাবিরুল হক সাবু, কাজী আলাউদ্দিন, নাজমুন নাহার মুন্নি, টিএস আইয়ুব, আবুল হোসেন আজাদ, মোজাফ্ফার আলম ও খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে মনিরুল হাসান বাপ্পি, তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, এসএ রহমান বাবুল, নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আবু মো. মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাবীবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আবদুর রশিদ, আব্দুর রাজ্জাক, মোমরেজুল ইসলাম, বেগ তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে গণমিছিল বের করা হয়। নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে স্যার ইকবাল রোড, লোয়ার যশোর রোডসহ কয়েকটি রোড প্রদক্ষিণ করে পাওয়ার হাউস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর