বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
কুড়িগ্রামে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সফিকুর রহমান নুরুল আমীন নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উলিপুর উপজেলার বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
সফিকুর রহমান নুরুল আমীন উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের আনছার আলী আমীনের ছেলে। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগীরা।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উলিপুর উপজেলার বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় বেকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছ থেকে মোট ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীন। পরে চাকরি না দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম, রঞ্জু মিয়া, আলমগীরসহ অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেন তিনি। উপায় না পেয়ে চাকরি প্রার্থীরা বাদী হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। তারা প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের অক্টোবর প্রতারণার মামলা করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন প্রধান শিক্ষক। ১ বছর ৪ মাস কারাগারে থাকার পর মীমাংসার কথা বলে হাইকোর্ট থেকে দুই মাসের জামিন নেন তিনি। পরে মীমাংসা করতে না পারায় চলতি বছরের ২০ জুন হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে আবারও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চাকরিপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সহায় সম্বল বিক্রি করে ও ঋণ করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. আফরোজা বেগম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম বলেন, বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীন কারাগারে আছেন। অর্থ আত্মসাতের মামলায় যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন, বিজ্ঞ আদালত তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
জুয়েল রানা/আরএআর