এই সেতু ব্যবহার করে মাদারগঞ্জ উজজেলার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ

জামালপুরের মাদারগঞ্জে যমুনার একটি শাখা নদীর ওপর সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ। সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। 

জোড়খালি ইউনিয়নের ফুলারপাড়া, জামিরা, পাটাদহ, কয়ড়া, চররৌহা, নান্দিনা, খলিশাকুড়ি, খামার মাগুরিয়া ও মাজারিয়া গ্রামের মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করে প্রতিদিনই নদী পার হন।

স্থানীয়রা জানান, যমুনার শাখা নদী (ত্রিশের দহ) নদীতে প্রথম দিকে লোকজন নৌকা দিয়ে পার হতো। এরপর ১৫ বছর আগে নিজস্ব অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন গ্রামবাসী। এই সাঁকোটিও এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। তাই অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পার হতে হচ্ছে। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেই লোকজন পার হচ্ছে। সাঁকোর অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। ফুলারপাড়া গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

ফুলারপাড়া এলাকায় কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, এ ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না। ভোগান্তি কবে যে শেষ হবে। কতবার কত লোক এসে মাপজোক নিয়ে যায় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করলে মণ প্রতি ৫০-১০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়। সেতু থাকলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারতাম। তাহলে দামও ঠিক পাওয়া যেত।

জামিরা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শিক্ষার্থীরা ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের বয়স্ক ও মুমূর্ষু রোগীদের যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু হলে খুব উপকার হবে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল বলেন, জোড়খালিতে সেতু নির্মাণের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। প্রজেক্ট পাস হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের চিঠি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প পাশ হলেই নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

রকিব হাসান নয়/এএএ