অংকনের সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাবার (ইরেজার) একটির উপরে আরেকটি দাঁড় করিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখান ঠাকুরগাঁওয়ের জাহিদুল ইসলাম অংকন। শনিবার (২৬ আগস্ট) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী অংকন।
অংকন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শাহপাড়া মহল্লার ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগম দম্পত্যির বড় ছেলে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত বুধবার (২৩ আগস্ট) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি ই-মেইলের মাধ্যমে রেকর্ডের বিষয়টি অংকনকে জানায়।
জানা যায়, এর আগে ৩ দশমিক ৬৪ সেকেন্ডে এই রেকর্ড গড়েছিলেন মালয়েশিয়ান এক নাগরিক। পরে গত ১৭ মে রেকর্ডের বিষয়ে মেইল করলে ২৩ আগস্ট ফিরতি বার্তায় অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গিনেস বুক। ২ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে তিনি নতুন এই রেকর্ড গড়েন।
বিজ্ঞাপন
অংকন বলেন, ছোট থেকেই আমার নতুন বা প্রোডাক্টিভ কিছু করার বাসনা কাজ করত। করোনাকালে ঘরে বসে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে একদিন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের চিন্তা মাথায় এল। এরপর থেকে এটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলাম। অবশেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সফল হলাম।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের ছেলের নাম আসায় বেশ খুশি অংকনের বাবা-মা ও এলাকাবাসী। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনন্দন বার্তায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
অংকনের বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনেকেই ফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে ছেলের কাজের প্রশংসা করছেন। বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের সাফল্য মানে নিজের সাফল্য। আমরা অনেক বেশি খুশি। আমরা তার জন্য দোয়া করি সে যেন সামনের দিনে আরও ভালো কিছু করতে পারে।
অংকনের দাদি বলেন, আমার দাদু ভাই ছোটবেলা থেকে খুব মেধাবী। সে পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। এর পাশাপাশি সে বই লেখা শুরু করে। আমি খুব গর্বিত সে এমন একটা রেকর্ড গড়েছে।
বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন ও সহপাঠীরা তার বাসায় ভিড় করছেন। মিষ্টি খাইয়ে তাকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আলী বলেন, অংকন আমাদের এলাকার গর্ব। তার এই খুশির খবরে এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। তিনি আমাদের জেলাসহ সারা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। তিনি আরও অনেক ভালো কিছু করুক এই দোয়া করি।
উল্লেখ্য, এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ে মথুরাপুর গ্রামের রাসেল স্পিনিং এ একাধিকবার গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। অংকন জেলার ২য় গিনেস রেকর্ডধারী হিসেবে নাম লেখায় গর্বিত জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
আরিফ হাসান/এএএ