ঢাকার ধামরাইয়ে হঠাৎ মারা যাওয়া ১১টি গরুর মৃত্যুর কারণ জানা গেছে। এসব গরুকে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান। এর আগে গত ২১ আগস্ট ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কাজীপাড়া গ্রামের আসাদ অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে

এদিন গরুগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানতে গরুগুলোকে খাওয়ানো কাঁচা গাস, দানাদার খাবার, গোবর, রক্ত, গরুগুলোর বিভিন্ন ময়নাতদন্তের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কলিজা, ফুসফুসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবে (সিডিআইএল) পাঠানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে তর্কা ও বাদলা নেগেটিভ এসেছে। পরীক্ষায় রক্তে, কলিজায়, লিভারে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে।

ডা. সেলিম জাহান বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। সাধারণত গরুকে ২৪ ঘণ্টায় এক কেজি খাবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ গ্রাম ইউরিয়া খাওয়ানো যায়। তবে কোনোভাবেই গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না। আমরা পরীক্ষায় প্রতি কেজি খাবারে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম ইউরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে খামারির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি গরুগুলোকে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে এবং গর্ভবতী গাভিকেও একই মাত্রায় ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে। এ কারণেই খামারের অধিকাংশ গর্ভবতী গাভি মারা গেছে।

অন্যান্য খামারিদের জন্য তিনি বলেন, খামারের প্রাণীগুলোকে নিয়মিত ভ্যাক্সিন দিতে হবে। কোনোভাবেই খাবারে ইউরিয়ার মাত্রা বাড়ানো যাবে না। খামারিকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যারা সরাসরি প্রাণীগুলোকে দেখাশুনা করবেন তাদেরকেও প্রশিক্ষিত হতে হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এমজেইউ