স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে লঞ্চঘাটে যাত্রীদের গাদাগাদি

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই ঘরে ফিরছে শুরু করেছে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। আর তাই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল দেখা গেছে। সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে যেন পারপারে প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষ।

দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বাংলাবাজারঘাট লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায় পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তবে লঞ্চে জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া বাড়ানো হলেও কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানছে না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীরা। নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব।

বাংলাবাজার সি-বোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়া দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে এই নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ ও ২০০ স্পিডবোট চলাচল করছে।

ঢাকা থেকে খুলনাগামী যাত্রী রতন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাল থেকে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তাই বাড়ি যাচ্ছি, লঞ্চে আগের মতোই গাদাগাদি করেই ছুটছে মানুষ। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বরিশালগামী যাত্রী হায়দার জানান, এক সপ্তাহ লকডাউন। এ সময় ঢাকায় থেকে কী করব। তাই বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে সময় দিতেই এখন এত কষ্ট করে বাড়ি যাচ্ছি। করোনা নিয়ে এখন ভেবে কী হবে। মৃত্যু যেদিন আসবে, সেদিন হবে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক ইনচার্জ আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বেশি। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তাদের মাইকিং করে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। লঞ্চগুলোকে ট্রিপ শেষে ওয়াশ করা হয়। এ ছাড়া সব যাত্রীকে মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক করে লঞ্চে ওঠানো হয়।

নাজমুল মোড়ল/এনএ