স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের

মহামারি করোনা প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পরপরই বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের চাপে বাসের টিকিট কাউন্টারের মাস্টাররা বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাড়া। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের।

প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। এজন্য আজকের মধ্যে যেকোনোভাবে গ্রামে ফিরছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তিন গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহনশ্রমিকরা। কম ভাড়ার আশায় অনেকেই পিকআপে গ্রামে রওনা হয়েছেন।

 স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তিন গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহনশ্রমিকরা

রোববার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে সাভার, নবীনগর, বাইপাইল ও জিরানীবাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্ট্যান্ডে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রী এবং পরিবহনশ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নেই মনিটরিং ব্যবস্থা। ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হলেও মানছেন না কাউন্টারের মাস্টাররা।

অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসের টিকিট কিনেছেন আসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ি যেতে হবে। উপায় নেই। আমার বাড়ি রংপুর। আগে ৪৫০ টাকা দিয়ে যেতাম, আজ ভাড়া নিয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা। পরিবহনশ্রমিকরা বলেছেন আপনার পাশের সিটে কেউ বসবে না। আসলে তা মিথ্যা। তিন গুণ ভাড়া নিলেও প্রত্যেক সিটে লোক নিয়েছেন তারা।

লকডাউন ঘোষণার পরপরই বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজীব এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মো. আলম বলেন, আমরা যাত্রীদের স্যানিটাইজ করিয়ে গাড়িতে তুলছি। শতভাগ যাত্রীর মাস্ক নিশ্চিত করেছি। বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা জোর করে নিচ্ছি না। বলে কয়ে যার কাছ থেকে যা পাচ্ছি তা নিচ্ছি। কারণ কাল থেকে বাস চলবে না। এজন্য বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছেন যাত্রীরা।

সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কে আমরা মনিটরিং বাড়িয়ে দিয়েছি। বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

মাহিদুল/এএম