আবু সুফিয়ান মোল্লা ও দীপক কুমার রায়

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দুইজন আসামির উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের চাচড়া রায়পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ফজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের মাধবপুর গ্রামের শ্রী গনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দীপক কুমার রায় ও গোপালগঞ্জের গাড়ইগাত গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সুফিয়ান মোল্লা। এর মধ্যে ফজলুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- পিরোজপুরের সেউতিবাড়িয়া গ্রামের জয়নাল হাওলাদার (পলাতক)। এছাড়া, চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ার মিলন ও দামুড়হুদার জয়রামপুরের আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের একটি বেগুনখেতের মধ্যে জহুরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার পর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এই রায় দিয়েছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

আফজালুল হক/এমজেইউ