রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে উল্টে গেল প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো আধুনিক সড়কবাতি

রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে উল্টে গেল প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো আধুনিক সড়কবাতি। রোববার (০৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।

এতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বিলসিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কের ১৭৪টি বাতির ৫৯টি উপড়ে পড়েছে। হেলে পড়েছে বেশিরভাগ। পোলগুলো সড়ক বিভাজকের ওপরে পড়ায় কেউ হতাহত হয়নি। 

নগরীর নান্দনিকতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো চীন থেকে আনা দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি সংযোজন করে রাসিক। কেবল সড়ক আলোকিত করতে রাসিকের খরচ হয় ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।

প্রতিটি পোলে দুটি করে এলইডি বাল্ব প্রজাপতির মতো ডানা মেলে রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। বাতিগুলো সরবরাহ করেছে ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’।

১১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আধুনিক এ সড়কবাতি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকে সড়কটি প্রজাপতি সড়ক নামে পরিচিতি পায়। 

কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বিলসিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কের ১৭৪টি বাতির ৫৯টি উপড়ে পড়ে

তবে ঝড়ে অধিকাংশ সড়কবাতি পড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণে ত্রুটি কিংবা অনিয়মের কারণে এমন বিপর্যয় হয়েছে।

তবে এটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু। তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে খুঁটিগুলো হেলে পড়েছে। কিছু উপড়ে গেছে। ওয়ারেন্টির মেয়াদ থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে সেগুলো আবার ঠিক করে দেবে।

খবর পেয়ে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো। তিনি বলেন, এক বছরের ওয়ারেন্টির মেয়াদ আছে। ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটিগুলো রাতের মধ্যেই মেরামত করা হবে।

হেলে পড়েছে বেশিরভাগ। পোলগুলো সড়ক বিভাজকের ওপরে পড়ায় কেউ হতাহত হয়নি

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৩টার পর রাজশাহীতে দমকা হাওয়া শুরু হয়। সাড়ে ৩টার দিকে তা ঝড়ে রূপ নেয়। ওই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। থেমে থেমে ঘণ্টাখানিক ছিল ঝড়। এটি রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী।

রাজশাহী শহর ও আশপাশে ঝড়ের সময় বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে জেলার পুঠিয়া ও বাঘা এলাকায় শিলাসহ বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম