রংপুরে তিন দফা দাবিতে পেট্রলপাম্প মালিকদের ধর্মঘট
সারা দেশের মতো রংপুরেও জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করেছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মালিক সমিতির ডাকা এই ধর্মঘটকে স্বাগত জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোও। বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, রংপুর বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘট পালন করছে। এতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছে দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরি শ্রমিকরা।
রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া লাল্লু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষ যে দাবি করে আসছে তা যৌক্তিক। মালিকরা যদি টিকে থাকতে না পারে তাহলে আমাদের আয়ের পথও হুমকির মুখে পড়বে। তাই মালিকপক্ষের এই ধর্মঘট আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ২৫ বছর করার চেষ্টা চলছে। এটা হলে অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তাছাড়া আমরা সরকারের বিপক্ষে নই। আমরা দেশকে ভালোবাসি, চাই না তেল নিয়ে কোনো কিছু হোক।
পেট্রলপাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে সে তুলনায় তেল বিক্রির কমিশন না বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। তাদের দাবি, জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন বাড়িয়ে শতকরা সাড়ে চার ভাগ থেকে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। পেট্রলপাম্প ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ও ট্যাংকলরির ইকনোমিক লাইফ ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
রংপুর পেট্রলপাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, গত বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর প্রতি গাড়ি তেল উত্তোলন করতে আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে টাকা লগ্নি করতে হচ্ছে। তবে সে তুলনায় বাড়েনি তেল বিক্রির কমিশনের টাকা। সরকার দ্রুত দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট চলমান রাখার হুশিয়ারিও দিয়েছেন এই নেতা।
অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে তেলপাম্পগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে বাড়তি দাম কিংবা তেল সংকটের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ