জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এই কারখানার আওতাধীন জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গসহ ১৬ জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ইউরিয়া সার সংকটের শঙ্কা করছেন সারের ডিলার ও কৃষকেরা। 

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, কেপিআই-১ মান সম্পন্ন বিসিআইসির যমুনা সার কারখানাটি ১৯৯০ সালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। কিন্তু বিভিন্ন সময় গ্যাস সংকট এবং যান্ত্রিক দুর্বলতায় এখন তা কমে ১২০০-১৪০০ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে। বাৎসরিক ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বিভিন্ন সংকটের কারণে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। বর্তমানে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদনে অক্ষম দেশের এই বৃহৎ সার কারখানা।

কারখানাটিতে পরিমাণ মতো ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন ৪০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে কারখানাটির ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

তারাকান্দি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, গ্যাসের চাপ কম থাকায় আমরা যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি না। গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি পেলে তখন সরবরাহ করা হবে। 

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সার মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো শঙ্কা নেই।

রকিব হাসান নয়ন/আরএআর