কমিশনের তালিকায় বাদ পড়া রংপুরের ১০৫ নদী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এ বছরের ২৬ আগস্ট বাংলাদেশের নদীর খসড়া তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এই খসড়া তালিকায় রংপুর বিভাগের শতাধিক নদ-নদী বাদ পড়েছে বলে মনে করছেন নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’।
এই সংগঠনটি দাবি, রংপুর বিভাগে দীর্ঘদিন সরেজমিন অনুসন্ধান করে যেসব নদ-নদী চিহ্নিত করেছে তার মধ্য থেকে ১০৫টি নদ-নদী বাদ পড়েছে। এসব নদী তালিকাভুক্ত না হলে এই অঞ্চলের প্রাণ প্রকৃতির সঙ্গে নদীকেন্দ্রিক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জানতে পারবে না আগামী প্রজন্ম। একই সঙ্গে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বাড়বে নদী দখল, বালু উত্তোলন ও নদী খেকোদের ভূমিদস্যুতা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে প্রকাশিত তালাকায় দেখা যায় রংপুর বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১২১টি। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ তালিকায় রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত নদ-নদী বাদ পড়েছে, যা রিভারাইন পিপলের নজরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন ও পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত ১০৫টি নদ-নদীর তালিকা কমিশনের চেয়ারম্যান এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ১০৫টি নদ-নদী প্রকাশিত খসড়া তালিকায় নেই।
বিজ্ঞাপন
লিখিত অনুরোধপত্রে বলা হয়, রংপুর বিভাগের বাদ পড়া ১০৫টি নদ-নদীর মধ্যে ৬৩টি সচিত্র বর্ণনাসহ, ১৬টির সংক্ষিপ্ত পরিচিতসহ এবং ২৬টি নদ-নদীর শুধু নাম দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে লিখিত দেওয়ার পর সরেজমিন অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে যাচাই করে প্রকৃত নদীর সংখ্যা দিয়েই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএএ