নরসিংদীতে ঘাটের ইজারা ও নৌকার সিরিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাজিম (১৬) নামে এক কিশোরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার কাউরিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সাজিম কাউরিয়াপাড়া এলাকার আমির হোসেনের  ছেলে। সে আলীজান জে এম একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়ায় নতুন লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন মতিন মিয়া। গত জুন মাসে আলমাস কমিশনারসহ আরও কয়েকজন নতুন করে ইজারা নেন। ইজারাদারা পরিবর্তন হওয়ার পরও মতিন ও তার সমর্থকরা ঘাট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাতেন। মতিন মিয়ার নৌকাগুলো বিনা সিরিয়ালে চলতো। এতে ইজারাদারের লোকজন বাধা দিলে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ তার সমর্থকরা ইজারাদারদের সমর্থকদের মারধর করেন। একই সঙ্গে ক্যাশবক্স থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যেতেন। 

শুক্রবার দুপুরে মতিন মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ কয়েকজন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে হট্টগোল করেন। এতে বাধা দিলে বর্তমান ইজারাদার আলমাস কমিশনারের সমর্থকদের মারধর করা হয়। পরে লঞ্চ ঘাট থেকে ইজারাদারের পক্ষের ৭-৮ জন মতিনের বাড়িতে নালিস জানাতে যান। ওই সময় মতিন ও তার ছেলেসহ ২০-২৫ জন সমর্থক ছুরি ও রামদা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। তাদের এলোপাতাড়ি ছুরির আঘাতে সাজিমসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যান। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাজিমকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

নরসিংদী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইয়াদুর জানান, ঘাটের ইজারা ও নৌকার সিরিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।

তন্ময় সাহা/আরএআর