দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা-ভোলা নৌরুটে চালু হলো যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরি সার্ভিস ‘কার্নিভাল ক্রুজ’।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ ঘাট থেকে দ্বীপ জেলা ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দ্রুতগতিতে ফেরিটি দুপুর ২টায় ভোলার ইলিশাঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে এই ফেরিযাত্রার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ফেরির দৈর্ঘ্য ২০০ ফুট। ফেরিতে ৩৩০ জনের আসন ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে কেবিন ৬০টি ও চেয়ার ১০০টি। এছাড়া ৩৫টি গাড়ির ধারণক্ষমতা রয়েছে। ফেরিটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

কার্নিভাল ক্রুজ লাইনের পরিচালক মাসুম খান বলেন, যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরিটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টায় ভোলায় ছেড়ে যাবে। ভোলার ইলিশা ঘাটে দুপুর ২টায় পৌঁছাবে। ইলিশা থেকে রাত ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে  যাবে।

তিনি আরও বলেন, ফেরিতে যেকোনো নৌ দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপণে উন্নত ব্যবস্থার সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষ চালক ও যাত্রী সেবায় প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া

প্রতি মোটরসাইকেল ১ হাজার টাকা, সঙ্গে দুজন যাত্রী ফ্রি যেতে পারবেন। আর প্রাইভেটকার পাঁচ হাজার টাকা, সঙ্গে পাঁচজন যাত্রী যেতে পারবেন। মিনিবাস ১০ হাজার ও বড় বাস ১৫ হাজার টাকা, সঙ্গে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী ফ্রিতে যেতে পারবেন। আর বেশি যাত্রী নিলে গুনতে হবে অতিরিক্ত ভাড়া।

এছাড়া ফেরিটিতে যাত্রী যাওয়ার জন্য চেয়ার ভাড়া ৫০০ এবং ডেক ভাড়া ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সাধারণ কেবিন ভাড়া তিন হাজার এবং ভিআইপি কেবিন ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইলিশা ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ এসআই গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি ভোলাবাসীর জন্য অনেক খুশির সংবাদ। কার্নিভাল ক্রুজ জাহাজের কারণে ভোলাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা একধাপ এগিয়ে গেল।

দ্বীপ জেলা ভোলাবাসীর জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। জাহাজটিকে এক নজর দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ছুটে এসেছে ইলিশা ঘাটে। জাহাজটি এ রুটে  টিকে থাকতে পারবে বলে আশা করেন ভোলাবাসী।

এমজেইউ