যাত্রীবেশে সুযোগ বুঝে চালকের ওপর হামলা চালিয়ে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় একটি চক্র। নোয়াখালীর কবিরহাটে এই চক্রের দুজন সদস্য গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় অল্পের জন্য রক্ষা পান চালক মো. রুবেল (২৮)। এ ঘটনায় সুলতান আহমেদ ওরফে ছোটন (২৮) নামের চক্রের একজনকে আটক করেছে কবিরহাট থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চৌকিদার বাজার এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক মো. রুবেল কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজুরগাঁয়ের মৃত ফখরুল ইসলামের ছেলে।

আটককৃত সুলতান আহমেদ ওরফে ছোটন একই উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া ভূইয়ারহাট এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত মো. হানিফের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল বাবলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাত্রী সেজে দুজন ছিনতাই রুবেলের অটোরিকশায় ওঠেম। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চৌকিদার বাজার এলাকায় এলে তারা ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে রুবেলের গলা কেটে ফেলে এবং অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দূর থেকে স্থানীয় একজন দেখতে পেয়ে সুলতান আহমেদ ওরফে ছোটনকে আটক করলেও অপর ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা সুলতান আহমেদ ওরফে ছোটনকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী রুবেল ও ছিনতাইকারী ছোটনকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারপর তাদের উদ্ধার করে উভয়কেই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছোটনসহ আমরা দুজনের নাম পেয়েছি। বর্তমানে আমিসহ আমার পুলিশ সদস্যরা অপর ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযানে আছি।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রয়েছি। অটোরিকশা চালক রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে গণপিটুনি দেওয়ায় ছিনতাইকারীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ছিনতাইয়ের ঘটনায় অপর সহযোগীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে