মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ নতুন করে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম। 

মরদেহের সংখ্যা ৩৫ নাকি ৩৪?- এমন প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা জানান, ‘জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর দেওয়া তথ্যে আমাদের কাছে ৩৭ জন নিখোঁজের তালিকা ছিল। এরমধ্যে সাইফুল ও জাকিরকে জীবিত পাওয়া গেছে। আর একজনের নাম তালিকায় দুইবার ওঠায় সংখ্যা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমাদের হিসাবে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।’ 

নতুন করে যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা হলেন- এনএসআই কর্মকর্তা ইউসুফ কাজী (৪০), ঢাকার মিরপুর-১১ এর বাসিন্দা মো. সোহাগ হাওলাদার (৩৪), মুন্সিগঞ্জ সদরের দক্ষিণ ইসলামপুরের মো. তানভীর হোসেন হৃদয় (২৫) মালপাড়া এলাকার রিজভী (২০) ও শিশু আকাশ সাহা (৯)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ৯ বছর বয়সের এক শিশুসহ একে একে পাঁচটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশ গিয়ে অপর দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজদের স্বজনরা এসে শনাক্ত করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তাদের সবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। 

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

রাজু আহমেদ/এসপি/জেএস