ফরিদপুরের মধুখালিতে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহারভুক্ত ২১ জন আসামি আদালতে হাজির হলে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট ওই মামলায় ২১ জন হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের আদেশে মেনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ২১ নেতাকর্মী ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে যে ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন তারা হলেন, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ, উপজেলা বিএনপির কোশাধ্যক্ষ লিয়াকত আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কনক হাসান মাসুদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বাবুল কুমার রায়, পৌর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য জয়দেব রায়, পৌর ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক জি এস শরৎ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এস এম মুক্তার হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক ইকবাল বিশ্বাস, পৌর ছাত্রদল সদস্য সচিব মো. রেদোয়ান আবেদীন, কামালদিয়া ইউপি বিএনপি সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, মেঘচামী ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, রায়পুর ছাত্রদলের সভাপতি টারজান মিয়া এবং বিএনপি কর্মী সয়েল আহমেদ, মাহাবুব তালুকদার ও পীষূষ মিত্র।

আদালত অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, আরেফিন সাদ্দাম ও ইলিয়াস বিশ্বাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মধুখালি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই রাতে মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় বালা বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল ফাটানোর অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন মধুখালী থানায়। এ মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতিসহ ২৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন বলেন, এ মামলায় এজাহারভুক্ত ২৪ আসামির মধ্যে ২১ আসামি হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। বাকি ৩ জনকে এ মামলায় আগেই আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তবে এ মামলাটিকে গায়েবি মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী বলেন, যে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মামলাটি সাজানো হয়েছে সেটি সত্য নয়। আসল সত্য হল ঘটনার দিন (৩১ জুলাই) সোমবার ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেনি আমাদের নেতাকর্মীরা। এটি একটি সাজানো মামলা। 

জহির হোসেন/এএএ