মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরসহ আগুনে পুড়ে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে মিরকাদিম পৌর মেয়র আবদুস সালামের বাড়িতে এর দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে আহতদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা বোমা বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মিরকাদিম পৌর মেয়র আবদুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী কানন বেগম (৪০), প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা (৪৫), মো. আওলাদ হোসেন (৪২), মো. মতাজুল ইসলাম (২৫), মো. মাইনুদ্দিন (৪৪), মোশারফ হোসেন (৪২), শ্যামল দাস (৪৫), পান্না মিয়া (৫০), কালু মিয়া (৪০), মো. ইদ্রিস আলী (৫০), মো. সোহেল (৫২), দ্বীন ইসলাম (৪০)।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ পৌর মেয়রের (আবদুস সালাম) বাড়িতে মানুষের চিৎকার শুনে আমরা সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে প্রথমে জানতে পারি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে শুনলাম যে কারা নাকি মেয়রের বাড়িতে বোমা মেরেছে। এ কারণে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে আহত প্যানেল মেয়র আওলাদ হোসেনের চাচাতো ভাই সেন্টু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে পৌরসভার সব কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের নিয়ে নিজ বাসভবনে সভায় বসেন পৌর মেয়র আবদুস সালাম। যখন তারা কথা বলছিলেন, একপর্যায়ে বোমার বিকট শব্দে মেয়রের বাসভবনে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে মিরকাদিম পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়র, মেয়রের স্ত্রীসহ কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ জন আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কিসের বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখনো জানি না।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসি। তবে বোমার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও বোমা বিশেষজ্ঞ দল ডাকা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হচ্ছে। বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ব.ম শামীম/এনএ