ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছগুলো

রাস্তার দুই পাশে সারি সারি শুকনা গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে। তার নিচ দিয়ে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করছে শত শত পথচারী। অথচ যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার (হিলি) আলীহাট ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের রাস্তার দুই পাশে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। সামান্য বাতাসে মরা গাছগুলো নড়ে ওঠে। এত আতঙ্কে থাকে পথচলতি মানুষ ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ইসবপুর গ্রামের ভ্যানচালক আমিরুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। কয়েক দিন আগে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটা গাছ ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।

কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, আমার রাস্তার পাশে জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। জমিতে কাজ করতে হয় সব সময়। কিন্তু কাজ করার সময় ভয়ে থাকি, কখন যে গাছগুলো ভেঙে মাথায় পড়ে।

উপকারভোগী জলিলসহ অনেকেই জানান, ১৯৯৭ সালে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এনডিসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গাছগুলো রোপণ করেন তারা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবধি গাছগুলো কাটার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এখন গাছগুলো যে কারও জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠবে।
 
আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেছি মরা গাছগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে?

এ ব্যাপারে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এনডিসি) নির্বাহী পরিচালক সাজু আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নের সব গাছ কাটা শেষ। আলীহাট ইউনিয়নের কিছু রাস্তার গাছ কাটতে দেরি হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত মরা গাছগুলো কেটে ফেলা হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নুর-এ-আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাস্তার গাছের বিষয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা আছে। উপকারভোগীরা কমিটিকে জানালে কমিটি সভা করে উপজেলা কমিটিকে অবহিত করলে পরবর্তীতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেব।

মো. মাহাবুর রহমান/এনএ