কুমিল্লায় হোমওয়ার্ক না করায় এক মাদরাসাছাত্রের শরীরে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে আতিকুল ইসলাম নামের অভিযুক্ত এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নয়াকান্দি মমতাজিয়া আছমতিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ভুক্তভোগী আব্দুল কাইয়ুম (১৪) ওই মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও ওই এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কাইয়ুম ওই মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হিফজ বিভাগে অধ্যয়নরত আছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে কাইয়ুম হোমওয়ার্ক না করায় শিক্ষক আতিকুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম ওই মাদরাসার তিন ছাত্রের সাহায্যে তাকে ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেন। এতে কাইয়ুমের শরীরে পেছনের অংশ ঝলসে যায়। পরে মাদরাসা থেকে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক কাইয়ুমের পরিবারকে জানায়, কাইয়ুমের শরীরে গরম পানি পড়ে ঝলসে গেছে। পরে তার স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। সোমবার বিকেলে পরিবারকে পুরো ঘটনা খুলে বলে কাইয়ুম। পরে তাকে দ্রুত হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী ছাত্রের মা হাফেজা বেগম থানায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামসহ তিন শিক্ষার্থীর নামে লিখিত অভিযোগ দেন। 

অভিযোগের পর সোমবার রাতে ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অন্য শিক্ষক সাইফুল এবং বাকি ৩ শিক্ষার্থী পালিয়ে যায়। 

ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মাদরাসা শিক্ষক আতিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আটকের অভিযান চলছে।  

আরিফ আজগর/আরকে