খোলা পিকআপ ভ্যানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কারাগার। ভেতরে গোলাপি শাড়ি পরা, হাতে ধানের ছড়া, চোখে কালো চশমা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজে সেজেছে ছয় বছর বয়সী শাহ রুফায়দা লুবাবা। সামনে বড় করে লিখা ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’। 

প্রতীকী কারাগারের ভেতর থেকে মায়ের গলার সঙ্গে মিলিয়ে শিশুটি বলতে থাকে, ‘আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমি আপসহীন নেত্রী। আমি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।’ 

রোববার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোডমার্চে গৌরীপুর উপজেলার শিবপুর এলাকায় দেখা মেলে প্রতীকী কারাবন্দি খালেদা জিয়ার। প্রতীকী খালেদা জিয়া হওয়া লুবাবার গাড়ি থামিয়ে পথে পথে ছবি তুলতে দেখা যায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের। 

লুবাবা নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী। সে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি তানজিন চৌধুরী লিলির মেয়ে। তার বাবা কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা শাহ নাসিরুদ্দিন রুমন। 

শিশুটির মা তানজিন চৌধুরী লিলি বলেন, যে সব শিশুরা শুধু বাবা-মা ডাকতে জানে তাদের অন্তরেও বেগম খালেদা জিয়া জায়গা করে নিয়েছেন। আমার মেয়ে আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেজেছে, সেও দেশনেত্রীর মুক্তি চায়।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, আপনি দেখুন বাংলাদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে কীভাবে ভালোবাসে। দেশের শিশুরা তাদের অন্তরে খালেদা জিয়াকে স্থান করে দিয়েছে। প্রখর রোদে রোডমার্চে এই শিশু বার্তা দিচ্ছে, এখনো সময় আছে আমার নেত্রীকে মুক্তি দিন। আমার নেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দিন। না হলে আপনি দেশ ছেড়ে পালানোরও কোনো সুযোগ পাবেন না। কারণ দেশের আপামর জনতার নেত্রী শুধু বড়দের অন্তরে নয়, শিশুদের অন্তরেও আছে।

উবায়দুল হক/আরএআর