বরিশালের গৌরনদীতে মরিচ পেষার হাতল (সীলপাটার পুতা) দিয়ে হেরোনা বেগম হত্যার ঘটনা আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্বামী ও ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ছেলে সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার আলী প্যাদা বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন। 

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই। পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য। এরমধ্যে নিহতের স্বামী হায়দার আলী প্যাদা ও ছোট ছেলে সুমন প্যাদা প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও দুই পুত্রবধূ রাখি বেগম ও তুলি বেগম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

মামলার বাদী নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে হেরোনা বেগমকে তার ছোট ছেলে সুমন প্যাদা ও পুত্রবধূ রাখি বেগম ও তুলি বেগম প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো। 

সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বোন বৃদ্ধা হেরোনা বেগমের মাথায় সীলপাটার পুতা দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হেরোনা বেগম মারা যায়। পরে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি টয়লেটের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে হেরোনার লাশ ঝুলিয়ে রাখে এবং আত্মহত্যার কথা বলে ছেলে সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখলে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের ছেলে সুমন প্যাদা, পুত্রবধূ রাখি বেগম, তুলি বেগম ও 
নিহতের স্বামী হায়দার আলী প্যাদাকে আটক করে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস