মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় মা সুমনা আক্তারের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের পর মেয়ে জান্নাতুল মাওয়ার (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই শিশু, এক নারী ও পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় জান্নাতুল মাওয়ার মা সুমনা আক্তারের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে সুমনা আক্তারের অপর মেয়ে সাফা আক্তার (৪) ও রিমাদ (২) নামের আরেক শিশু।

এর আগে আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ জান্নাতুল মারওয়ার (৮) মরদেহ পাওয়া যায়। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় কোস্ট গার্ড মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরঝাপটা এলাকার মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ সাব্বির হোসেনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জান্নাতুল মারওয়া ও সাফা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে। সাব্বিরদের বাড়ি রংপুরের কমাছপাড়া এলাকায়। তিনি গজারিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গজারিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে করে চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় ঘুরতে আসেন ১১ জন। সেখানে ঘোরাঘুরি শেষে ট্রলারটি সন্ধ্যার পর গজারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় নারায়ণগঞ্জ থেকে বালু নিতে মুন্সীগঞ্জের বালুমহালের দিকে আসা একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ১১ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাঁচজন তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ছয়জন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এখনো দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

ব.ম শামীম/এমজেইউ