ক্রেতা সেজে ভোক্তা অধিকার, স্যালাইনের দাম চাইল ১৫০ টাকা বেশি
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধের দোকানে স্যালাইন কিনতে যান এক ব্যক্তি। এরপর দোকানদার সুযোগ বুঝে ১০০ টাকার স্যালাইন এক দাম ২৫০ টাকা বলেন। ক্রেতাও বাধ্য হয়ে সেই দামে কিনতে চাইলেন। এরপর দোকানদার স্যালাইন বের করে দিয়ে টাকা চাইতেই পরিচয় পেলেন ক্রেতা আর কেও নন তিনি ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এমনিভাবে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ী হেলথ অ্যান্ড লাইফ ফার্মেসীকে ১০০ টাকার স্যালাইন ২৫০ টাকায় বিক্রির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সিরাজগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসান আল মারুফ।
বিজ্ঞাপন
হাসান আল মারুফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না এবং কারও কাছে থাকলেও নাই বা একটাই আছে বলে বেশি টাকায় বিক্রি করছে এমন তথ্য ছিল। দুদিন আগে একজন সাংবাদিক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেন, ‘তিনি তার মায়ের জন্য বাজারের ফার্মেসিতে ঘুরেও কোনো স্যালাইন পাননি। তিনি তার পোস্টে দাবি করেন, অনেকেই সংকটের কথা বলে বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করছেন।’ সেই ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি মাথায় নিয়েই আজ নিজেই ক্রেতা সেজে স্যালাইনের বাজার তদারকিতে বের হই।
তিনি বলেন, এ সময় হেলথ অ্যান্ড লাইফ ফার্মেসী নামের ওই ওষুধের দোকানে গেলে দোকানদার বলেন, আমার কাছে এক পিছ স্যালাইন আছে ২৫০ টাকা লাগবে। পরবর্তীতে আমি ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে রাজি হলে তিনি স্যালাইনটি বের করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় দেখা যায় ডিএনএস নামের ওই স্যালাইন যার গায়ে এমআরপি লেখা ছিল ১০০ দশমিক ৮৯ টাকা । কিন্তু তিনি ২৫০ টাকার নিচে বিক্রি করবেন না। পরে তাকে ১০০ টাকার স্যালাইন আড়াইশ টাকায় বিক্রির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময়ে বাজার স্টেশন এলাকায় স্মরণ ফল ঘরকে বিদেশি চকলেটে আমদানিকারকের স্টিকার ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হাসান মারুফ আরও বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে শহরের ভ্রাম্যমাণ চটপটি, ফুসকা ও ভাজাপোড়ার দোকানে তদারকি করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও পরিবেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন ও সদর থানা পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেন।
শুভ কুমার ঘোষ/এএএ