পদ্মাসেতুর রেলপথ উদ্বোধন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আয়োজিত জনসভা শেষে ব্যক্তিগত সফরে নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

পরদিন ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দিক নির্দেশনা দিতে নিজ নির্বাচনী আসনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর সকাল ১০টায় গনভবন থেকে রওনা হয়ে সড়কপথে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছে ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মাওয়া থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ। পরে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
 
জনসভা শেষে বিকেলে ব্যক্তিগত সফরে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবনে রাত্রীযাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নেতাকর্মীরা। এদিন আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে  ব্যানার ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক। 

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ভাঙ্গায় জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। প্রধানমন্ত্রী ১১ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়া অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এ সফরকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পরিষ্কার করাসহ উন্নয়নমূলক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বাশার খায়ের বলেন, কোনো বড় অর্জনের পর প্রধানমন্ত্রী তার বাবার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে আসে। তাই তো প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতুর রেলপথ উদ্বোধন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আয়োজিত জনসভা শেষে টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। পরদিন বুধবার সকালে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে। এদিন দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আমরা টুঙ্গিপাড়াবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে  আগামী নির্বাচন সামনে রেখে মতবিনিময় সভা করতে পারেন বলে জানা গেছে। 

আশিক জামান/আরকে