বড়খারচর আদর্শ নুরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বড়খারচর আদর্শ নুরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা ইয়াকুব আলীর (৩২) বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বলাৎকারের পর কাউকে কিছু না বলার জন্য ওই ছাত্রকে কোরআন শরিফ ধরিয়ে শপথ করান বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রের। ইয়াকুব আলী একই উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের উছমানপুর গ্রামের সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাদিরের ছেলে।

মামলার এজাহারে ছাত্রের বাবা উল্লেখ করেন, ২ এপ্রিল মাদরাসা থেকে বাড়ি এসে আর যেতে না চাইলে ছেলেকে একাধিকবার মারধর করি। এরপরও মাদরাসায় যেতে অস্বীকৃতি জানায়। গত কয়েকদিনের চাপে বুধবার (০৭ এপ্রিল) মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে তার মাকে কুলিয়ারচর থানায় নিয়ে যায়। তখন তার মা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পুলিশের কাছে বাবার নামে অভিযোগ করবে ভেবে ছেলেকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন মা। বাসায় গিয়ে মাকে ছেলেটি বলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে নিয়ে যেতে। পরে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাস্টারের কাছে নিয়ে গেলে বলাৎকারের কথা খুলে বলে ছেলে।

নির্যাতনের শিকার ছাত্র জানায়, ইয়াকুব আলী হুজুর ৩১ মার্চ রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে তুলে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। খারাপ কাজ করার পর কোরআন শরিফ ধরিয়ে কসম করায় কাউকে না বলতে। এর আগেও ওই হুজুর আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু ভয়ে কাউকে কিছু বলতে সাহস পাইনি।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাস্টার বলেন, এ ঘটনায় মাদরাসার সুনাম নষ্ট হয়েছে। ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন বলেন, শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা জঘন্য। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাওলানা ইয়াকুব আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে মোবাইল বন্ধ রেখেছেন তিনি। 

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, মাদরাসাছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মাওলানা ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রের বাবা। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসকে রাসেল/এএম