বাগেরহাটের সদর উপজেলার মোল্লাহাটের মোল্লাহাট-চিতলমারী সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটবোঝাই ট্রলি উল্টে চালক সাব্বির হোসেন (১৮) নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই সড়কের কচুরিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাব্বির মোল্লাহাট উপজেলার গ্রীশনগর গামের সুমন শেখের ছেলে।

দিনমজুর সুমন শেখ ও সুখী দম্পতির চার ছেলে মেয়ের মধ্যে সাব্বির হোসেন বড়। দিনমজুর বাবার একার আয়ে সংসার না চলায় অল্প বয়েসেই কাজ শুরু করেন সাব্বির। সেই কাজে গিয়েই প্রাণ দিতে হলো তাকে। সাব্বিরের ছোট দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। বোনদের একজন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে এবং অন্যজন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র দুই বছর। সন্তানের অকালমৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন সাব্বিরের মা। সংসারের আর্থিক বিষয় নিয়ে চিন্তিত সাব্বিরের স্বজনরা

সাব্বিরের মামা ফিরোজ শেখ ঢাকাপোস্টকে জানান, মোল্লাহাট উপজেলা সদর থেকে ট্রলিতে ইটবোঝাই করে কচুরিয়া বাজার-সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ট্রলিটি উল্টে যায়। এ সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে সাব্বির গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, গ্রীশনগর গামের দিনমজুর সুমন শেখ ও সুখী দম্পতির চার ছেলে মেয়ের মধ্যে সাব্বির হোসেন বড়। দিনমজুর বাবার একার আয়ে সংসার না চলায় অল্প বয়সেই কাজ শুরু করেন সাব্বির। সেই কাজে গিয়েই প্রাণ দিতে হলো তাকে। সাব্বিরের ছোট দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে। বোনদের একজন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে এবং অন্যজন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র দুই বছর। সন্তানের অকালমৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন সাব্বিরের মা। সংসারের আর্থিক বিষয় নিয়ে চিন্তিত সাব্বিরের স্বজনরা।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির ঢাকাপোস্টকে জানান, কচুরিয়া বাজার-সংলগ্ন রাস্তায় ট্রলি উল্টে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। ট্রলির নিচে পড়ে চালক সাব্বির গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এনএ