বাগেরহাটের চিতলমারীতে আগুনে পুরে একটি খামারের ককাটেল ও বাজুরিকা জাতের চার হাজার পাখির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার সুরশাইল গ্রামের মো. শুভ্র শেখের পাখির খামারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে চিতলমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও এলাকাবাসী মিলে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে মো. শাকিল সুলতান রানু (৪৮), মো. রাজু ফরাজী (২৮) ও মো. তানজিল শেখ (১০) নামে তিন জন আহত হয়েছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ উদ্যোক্তা মো. শুভ্র শেখ বলেন, ৭-৮ বছর আগে পাখির খামার শুরু করেছিলাম। অনেক কষ্টে খামারটিকে বড় করি। খামারে ককাটেল ও বাজুরিকা জাতের চার হাজারের অধিক পাখি ছিল। আমার বসত ঘরের পাশেই পাখির খামারটি ছিল। ভোর ৪টার দিকে আগুনের তাপ ও পাখির চেঁচামেচিতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরের বাইরে এসে দেখি ঘরের পাশে পাখির খামারে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনে খামারের সব পাখি ও  নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা, দুইটি ঘর, চার শতাধিক পাখির খাঁচা, কয়েক হাজার বাচ্চা ও ডিম পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন ও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়লাম বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শুভ্র শেখ।

চিতলমারী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুল অদুদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা আসার আগেই দুটি ঘর পুড়েছে এতে আনুমানিক ১৪-১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

শেখ  আবু তালেব/এএএ