মামলার এজাহারে নাম না থাকার পরও সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এক যুবককে  গ্রেপ্তার করায় গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাছির উদ্দিনকে তলব করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদেশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরনদী আমলি আদালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী অশোক কুমার জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর গৌরনদী উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার তরুণী মুরছালিন আক্তারকে নিজ বাড়ি সংলগ্ন সড়ক থেকে অপহরণের অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় রাসেল বিশ্বাস, এনামুল বিশ্বাস ও কাশেম ঘরামীকে নামধারী আসামি করা হয়। মামলায় কোনো অজ্ঞাত আসামি করা হয়নি। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই নাছির উদ্দীন মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করে গত ১৩ অক্টোবর ঢাকা থেকে রাসেলের ভগ্নিপতি কাউয়ুম বেপারীকে আটক করে গৌরনদী থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় কাউয়ুমের স্ত্রী গ্রেপ্তারে বাধা দিলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। 

পরদিন কাউয়ুমের স্বজনদের গৌরনদী মডেল থানায় এসে দেখা করার কথা বলেন এসআই নাছির উদ্দীন। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করে কোনো আপস না করায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে কাইয়ুম বেপারীকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রোববার আদালতে কাইয়ুম বেপারীর জামিন আবেদন করা হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়ার পরও সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় আদেশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এসআই নাছির উদ্দীনকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর