নেত্রকোণায় শত্রুতার জেরে খাবারে বিষ প্রয়োগ করে দুই খামারির ১ হাজার ৪০০ হাঁস নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে জেলার মদন উপজেলার শাহাপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাঁস খামারি হলেন- শাহাপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল ইসলাম ও আরজু মিয়া। তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত এক মাস ধরে হাঁসগুলো লালনপালন করে আসছিলেন।

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান সংশ্লিষ্ট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহাপুর গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে নূর আহম্মদ ও একই গ্রামের মৃত রোজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম তাদের হাঁসের খামারে বিষ মিশ্রিত খাবার দেয়, আর সে খাবার খেয়েই হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস খামারিদের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় হাওরে আমন ধান আবাদের ফলে তারা নিজ বাড়ির সামনে জালের বেড়া দিয়ে ফাঁকা জায়গায় হাঁসগুলো লালনপালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত কিছু দিন আগে একই এলাকার নূর আহম্মদ ও রবিউলের সঙ্গে বুলবুল ইসলামের বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে আজ সোমবার ভোরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হাঁসের খামারে দেয় নূর আহম্মদ ও রবিউল। সেই বিষ মিশ্রিত খাবার খেয়ে খামারিদের ১ হাজার ৪০০ হাঁস মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আরজু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, নূর আহম্মদ ও রবিউল প্রায় সময়ই আমাদের খামারের পাশে মোটরসাইকেল রাখত। আমরা গাড়ি রাখতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খাবারে বিষ দিয়ে আমাদের সব হাঁস মেরে ফেলেছে।

এদিকে সোমবার সকাল থেকেই পলাতক রয়েছেন নূর আহম্মদ ও রবিউল ইসলাম। নূর আহম্মদের বোন সুফিয়া আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমার ভাই বাড়িতে নেই। আরজু ও বুলবুলের হাঁস মরে যাওয়ায় তারা আমার ভাইকে দোষারোপ করছে, এমনকি তারা আমাদেরকেও মারধর করতে চাচ্ছে।

এ বিষয়ে মদন উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাইরান ইকবাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাঁস মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরীক্ষার জন্য মারা যাওয়া হাঁসের স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মো. জিয়াউর রহমান/এমজেইউ