বরগুনার সাবেক ডিসির সঙ্গে এক নারীর গোপন ভিডিও ভাইরাল
বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হাবিবুর রহমান
বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে ভিডিওটি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপলোড হলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বরগুনার ডিসি পদে যোগ দেন হাবিবুর রহমান। আড়াই বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের ৯ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সরিয়ে উপসচিব পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখায় পদায়ন করা হয়। তিনি নবাগত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলামের কাছে ৩০ জুলাই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ৪ সেপ্টেম্বর উপসচিব পদ থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিও পেয়েছেন হাবিবুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বেডে লাল কভার বালিশে শুয়ে ডিসির সঙ্গে গল্প করছেন ওই নারী। এ সময় ডিসির কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা দামের ফোন তিনি উপহার হিসেবে পাওয়ার কথা বলেন। ভিডিওতে হাসি-তামাশার ছলে ওই নারীর কপালে চুমু দেন ডিসি। পরে কিছুটা অন্ধকারে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের শব্দ শোনা যায়। বোঝা যায়, ওই নারী বরগুনা ডিসির বাংলোতে প্রায়ই রাতযাপন করতেন। দুটি ক্লিপে মোট ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ওই নারী প্রায়ই বরগুনা ডিসির বাংলোয় রাতযাপন করতেন। ডিসি ওই নারীকে তার বান্ধবী বলে পরিচয় দিতেন। বিমান ও স্পিডবোটে একত্রে ভ্রমণও করতেন তারা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ওই নারী প্রায়ই ডিসির বাংলোতে আসতেন। এমনকি ডিসির সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যান তিনি। হাবিবুর রহমানের নারী ও টাকার লোভ ছিল। বরগুনায় থাকাকালে তিনি এই জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। যাওয়ার কয়েকদিন আগে নদীবন্দরের জমিতে ব্যবসায়ীদের ৪০টি দোকান ভেঙে দিয়ে দুই মাসের মধ্যে আবার ৮ কোটি টাকা ঘুস নিয়ে অবৈধভাবে একসনা ডিসিআর দিয়েছেন।
ভাইরাল ভিডিওর ব্যাপারে সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে জামালপুরের ডিসি থাকাকালীন অফিসের অফিস সহায়ক একজন নারীর সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সেসময় খুব সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে তাকে জেলা প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
খান নাঈম/এএএ