জয়ের পর কামরান চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পরিবেশমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন

ইভিএমে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে নয় গুণ বেশি ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) শান্তিপূর্ণভাবে মৌলভীবাজারে বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী ৫৯৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৮৪। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪ ভোট।

প্রথম ধাপে সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বড়লেখা পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ১০ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ও মুঠোফোনে প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মো. সাইদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সকালে ভোটগ্রহণের শুরুতে কেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকাল ৮টায় পাথারিয়া ছোটলিখা মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী।

ভোট দেওয়ার পর সাড়ে ৯টায় তিনি বলেন, মানুষ উৎসব আমেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। চার কেন্দ্র দেখেছি। ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। ইনশাল্লাহ আমি বিজয়ী হব।

বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। তিনি বলেন, দুই থেকে তিন কেন্দ্র ঘুরেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি।

স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। তিনি অভিযোগ করেন, এক কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, ভোট সম্পন্ন হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্র থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর কিংবা অভিযোগ আসেনি।

বড়লেখা পৌরসভার নয় ওয়ার্ডে ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সাত হাজার ৫২৩ জন ও নারী ভোটার সাত হাজার ৯২০ জন। নয় সাধারণ ও তিন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণের জন্য ১০ ভোটকেন্দ্র এবং ৪৩ ভোটকক্ষ ছিল।

এএম