খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, একসময় ডিজিটাল শব্দটি নিয়ে অনেকেই ব্যঙ্গ করতেন। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তবে এই তথ্যপ্রযুক্তি অনেক সময় অপব্যবহার হয়। তাই সাইবার নিরাপত্তায় সকলকে সচেতন হতে হবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে ‘সাইবার সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফেসবুকের ব্যবহার মহামারি আকার ধারণ করেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকের সংসার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কেননা ফেসবুক খারাপ কাজের জন্য সৃষ্টি হয়নি।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, একজন রাজনীতিবিদ বা একজন সফল মানুষের সারাজীবনের অর্জন একটি সংবাদের জন্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এজন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন দরকার রয়েছে। দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করা উচিত। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য যা যা করণীয় আইন দ্বারা করতে হবে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামার মো. আবুজর রহমান।

অনুষ্ঠানে সাইবার সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. কাজী মো. রকিবুল আলম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. সাদাত রহমান।

সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কেসিসি’র বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী ও জেলার আইসিটি দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ