ফেনীর ছাগলনাইয়া তাহফিজুল কুরআন মডেল হিফজ মাদরাসায় রাফি নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে পশ্চিম ছাগলনাইয়া আলম বিএ সড়কের মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

রাফি ছাগলনাইয়া থানা সংলগ্ন এলাকার মো. জাবেদের ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, আজ ভোররাতে রাফি তাহাজ্জুদ নামাজের পর পড়তে বসেছিল। ক্লাস চলাকালীন মাথাব্যথা শুরু হলে শিক্ষক ইসমাইল তাকে পাশের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন। কিন্তু তার ব্যথা না কমায় পরে শিক্ষক মাদরাসার পরিচালককে খবর দিলে তিনি মাদরাসায় এসে ছেলের বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার বাবার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় একপর্যায়ে পরিচালক মোটরসাইকেলে তার বাবাকে মাদরাসায় নিয়ে আসেন। পরে রাফিকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. ইমাম হোসেন বলেন, রাত ৩টা ৪০ মিনিটে রাফির স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে উঠার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। পরে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে অন্যান্য ছাত্রের সঙ্গে সেও কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে বসে। কিছুক্ষণ তেলাওয়াত করার পর হঠাৎ তার মাথাব্যথা শুরু হয়। শিক্ষককে বিষয়টি বলার পর রাফি পাশের কক্ষে গিয়ে অন্য একজন ছাত্রকে ডেকে মাথা টিপতে বলে। একপর্যায়ে খবর পেয়ে আমি মাদরাসায় এসে মোবাইল ফোনে তার বাবাকে না পেয়ে নিজে সরাসরি তার বাসায় গিয়ে উনাকে নিয়ে আসি।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ