খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের এক নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে। লাঞ্ছিতের শিকার ইউপি সদস্য দিলরুবা খাতুন এ ঘটনায় কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

দিলরুবা খাতুনের অভিযোগ, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিলরুবা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল তাকে তার কক্ষে ডাকেন। পরে কক্ষে দরজা বন্ধ করে পরিষদের আরও কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতেই কোনো কারণ ছাড়াই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাকে মারতে উদ্যত হলে উপস্থিত কয়েকজন তাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

ইউপি সদস্য দিলরুবা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পরিষদে থাকাকালীন চেয়ারম্যানের লোকজন তুচ্ছ বিষয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। আমি তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে চাইনি বলে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় তারা ফোন করে চেয়ারম্যানকে এনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরিষদের ভিতরে একজন ইউপি সদস্যকে এভাবে লাঞ্ছিত করায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আমি এই অভিযোগ করেছি।

ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল ঢাকা পোস্টকে জানান, তাকে তেমন কিছু বলা হয়নি। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে জিডি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে বিস্তারিত জানাবেন।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউপি সদস্য দিলরুবা খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। 

মোহাম্মদ মিলন/এএএ