গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৈরি কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-২ পৌঁছান।

এর আগে, বুধবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছিল। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।

রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক।

রফিকুল ইসলামের বয়স ২৬ বছর। নিজের নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি জানান তিনি নিজেই। বিভিন্ন সময়ে ওয়াজে তার নামের সঙ্গে ‘শিশুবক্তা‘ ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানান তিনি। ওয়াজে নিজের বয়স সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে আমার জন্ম। এখনও আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আমি ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে পড়াশোনা করেছি। তারপর ক্লাস সিক্স পর্যন্ত স্কুলে পড়েছি। এরপর মাদরাসায় ভর্তি হই। নূরানিতে পড়েছি এক বছর। আল্লাহ রহমতে দুই বছরে হেফজ শেষ করেছি। এখানে তিন বছর, আগের ১২ বছর মোট হলো ১৫ বছর।  এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েছি।

শিহাব খান/এসপি