প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় এনেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ঘোষণার পরপরই ভোলার সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে উপকূলবাসীকে সচেতন করতে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ভোলা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ ঝুঁকিতে থাকায় তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের পাশাপাশি কোস্ট গার্ডকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার সাত উপজেলায় আটটি তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও মেডিকেল টিম খোলা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ, শুকনো খাবার ও শিশু খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা সার্বিক বিষয় নিয়ে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে তাদেরকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছি। 

জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক মো. আবদুর রশিদ জানান, ভোলায়  ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় জেলায় ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদিপশুকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১২টি মুজিব কেল্লা। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার সাত উপজেলায় ১৩ হাজার ৬৬০ জন সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছেন। 

আরএআর