ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে দুই দিন ধরে মরদেহ ফেরতের অপেক্ষায় নুর জামালের পরিবার। দুই দিন পার হলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নুর জামালের (৪০) মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতের সোনামতি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর দপ্তরের পিএসসি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান এসপিপি বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। আমরা আশা করছি শীঘ্রই নিহতের মরদেহ ফেরত পাব।  তবে এখনো মরদেহ ফেরতের বিষয়ে কিছু জানায়নি বিএসএফ। 

নিহত নুর জামাল উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের মৃত তসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য নুর ইসলামের ছোট ভাই। 

আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকাল বলেন, নিহত নুর জামালের স্ত্রী আলেফা বেগম ও তার স্বজনেরা মরদেহ ফেরত পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে মরদেহ ফেরতের দিনক্ষণ এখন পর্যন্ত জানায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১টার দিকে নুর জামালসহ পাঁচ-ছয়জন গরু আনার জন্য রত্নাই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বিওপি সীমান্তের ৩৮২/৩ এস পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে গেলে ভারতের সোনামতি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নুর জামাল। নুর জামালের মৃত্যুর পর তার সঙ্গীরা পালিয়ে আসলে মরদেহ নিয়ে যায় ভারতের সোনামতি ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা। 

আরিফ হাসান/এএএ